বিয়ানীবাজার সংবাদ

বিয়ানীবাজারে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ১০ টি শয্যা পরিপূর্ণ, স্বজনদের হাহাকার

মহসিন রনি, বিয়ানীবাজার ঃ ঘড়ির কাঁটার এক সেকেন্ড বেঁচে থাকার জন্য এখন মহামূল্যবান হয়ে দাড়িয়েছে তাদের জন্য। চারপাশে লকডাউনে সবাই যখন ঘরবন্দী তখন করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালের বেডে এসে ঠাই হয়েছে তাদের। বলছি প্রবাসী অধ্যুষিত বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা রোগীদের জন্য স্থাপিত আইসোলশন ওয়ার্ডের ১০টি শয্যায় রোগীদের কথা। স্বজনদের হাহাকার আর পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা না থাকায় নতুন রোগী ভর্তি করতে না পেরে অনেকটা হতাশ ডাক্তাররা।

গত সপ্তাহে আইসোলেশন ওয়ার্ডটি সম্পন্ন খালি পড়ে থাকলেও এক সপ্তাহের ব্যবধানে এখন পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে ওয়ার্ডটি,এতে কিছুটা হলে ও আঁচ করা যায় উপজেলার বর্তমান পরিস্থিতি। রোগী নিয়ে এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ছুটছেন স্বজনরা। অক্সিজেন ও সুযোগ সুবিধা না পেয়ে কেউ সিলেটের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিচ্ছেন তবে সিলেটই যে শেষ ঠিকানা নয়। বিগত কয়েক সপ্তাহে সিলেটের সব গুলো হাসপাতালের আইসিউ সহ সাধারণ বেড গুলোতে জায়গা নেই, ফলে কোনো উপায় না পেয়ে আবারো বিয়ানীবাজার ফিরে আসতে হচ্ছে।

গত শনিবার সিলেটের দশটি হাসপাতালে ঘুরে সিট না পেয়ে বিয়ানীবাজার আইসোলেশন ওয়ার্ডে ঠাই পাশ্ববর্তী উপজেলার ষাটোর্ধ এক বৃদ্ধার। তবে ভর্তির কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে তিনি না ফেরার দেশে চলে যান।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আরএমও ডাঃ আবু ইসহাক জানান, যারা এখন হাসপাতালে আসছেন অধিকাংশই কভিড সাসপেক্টেড। আমরা চাই সকল রোগীকে সেবা দিতে, তবে অনেক অপ্রতুলতা থাকায় তা পারিনা।

বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোয়াজ্জেম আলী খান বলেন, পরিস্থিতি দিন দিন ভয়াবহ হচ্ছে। আমাদের হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য দশটি শয্যা রয়েছে যেগুলো এখন পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে, চেষ্টা করছি আমরা সবাইকে সঠিক চিকিৎসা দেয়ার।

Back to top button