বিয়ানীবাজারে শিবির নেতা ও শিক্ষকের বাড়িতে যুবলীগ নেতার নের্তৃত্বে হামলার অভিযোগ

বিয়ানীবাজার টাইমসঃ বিয়ানীবাজারে শিবির নেতা ও এক স্কুল শিক্ষকের উপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার বাদ জুম্মা উপজেলার মুড়িয়া ইউনিয়নের বারুদা গ্রামের শিক্ষক ইসলাম উদ্দিন বাড়ির সামনে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনাটি ঘটে।
এঘটনায় আহত হামলার শিকার পূর্ব মুড়িয়া শিবিরের সাধারন সম্পাদক আদিলুর রহমান শাওন বিয়ানীবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। হামলার একটি ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়।
সেদিনের ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে শিবির নেতা আদিল শাওন অভিযোগ করে বলেন বলেন, আমি সাংগঠনিক কাজে বারুদা এলাকায় যাই, সেখানে রাস্তায় যুবলীগ নেতা টিপু পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমাকে অকথ্য গালিগালাজ ও হেনস্থা করার চেষ্টা করেন এবং প্রাননাশের হুমকি দেন। পরে স্থানীয় মুরব্বিরা বিষয়টি মীমাংসা করলেও পরে তিনি, ইউপি সদস্য বদরুল ও তার এলাকার সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রসহ আমাদের উপর হামলা চালান। আমরা স্থানীয় শিক্ষক ইসলাম স্যারের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে রক্ষা হয়নি, আমাদের কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাংচুর ও স্যারের বাড়িতে হামলা চালায় তারা।
এদিকে সরেজমিনে এলাকায় গেলে রহস্যজনক কারনে এলাকার ইউপি সদস্য এ বিষয়ে ক্যামেরার সামনে অথবা ক্যামেরার পেছনে কোনো মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
ক্যামেরার সামনে কথা না বললেও শিক্ষক ইসলাম উদ্দিন টাইমস টিভিকে বলেন, আমার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র আদিলের সাথে স্থানীয় টিপুর কথাকাটাকাটি এগিয়ে যাই এবং সমস্যা মিটমাটের চেষ্টা করি। অবস্থা বেগতিক দেখে আদিলকে আমার বাড়িতে নিয়ে আসি, একারনে ক্ষুদ্ধ হয়ে টিপু আর তার গোষ্টির মানুষ আমার বাড়িতে হামলা করে।
এদিকে অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা টিপুর বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি, তার মুঠোফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়। পরে তার মেসেঞ্জারে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, তার উপর মামলা দেন আদিলুর, এবিষয়ে তাকে ভদ্রভাবে জিজ্ঞেস করলে তিনি উত্তেজিত হয়ে উঠেন এবং বাড়িতে গিয়ে হুমকি দেন পরিবারের সদস্যদের সাথে খারাপ আচরন করেন।
বিয়ানীবাজার থানার ওসি তদন্ত ছবেদ আলী বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।