বিয়ানীবাজার পৌর নির্বাচন: রাত পোহালে ভোট যুদ্ধ, পরিবর্তন নাকি প্রত্যাবর্তন

মহসিন রনি, সিনিয়র প্রতিবেদক : রাত পোহালেই বিয়ানীবাজার পৌরসভা নির্বাচন। ভোট যুদ্ধে মেয়র পদে ১০ প্রার্থী লড়বেন চেয়া দখলের লড়াইয়ে, তফসিল ঘোষণা থেকে শুরু করে প্রতীক বরাদ্দ সহ প্রচার প্রচারণার শেষ দিন পর্যন্ত মাঠে সমান তালে পাল্লা দিয়েছেন সবাই। তবে ভোট যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে নানা সমীকরণ চার প্রার্থী বাজিমাত করতে পারেন এমনটাই মনে করছেন স্থানীয় ভোটার ও সচেতন নাগরিকরা। যাদের মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করা মেয়র প্রার্থী আব্দুস শুকুর, সতন্ত্র মেয়র পদপ্রার্থী (চামচ) ফারুকুল হক, সতন্ত্র মেয়র প্রার্থী আব্দুস সবুর (মোবাইল প্রতীক), সাবেক পৌর প্রশাসক তফজ্জুল হোসেন (জগ প্রতীক)
আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আব্দুস শুকুর সাবেক মেয়র থাকাকালীন সময়ে নানা সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি পৌর শহর জুড়ে ব্যপক সুনাম অর্জন করেছেন। এবারের নির্বাচনে দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ সমর্থনের ফলে ফের নৌকার প্রার্থী বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই। তবে সাবেক ছাত্রনেতা চামচ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করা আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ফারুকুল হক। রয়েছেন টক অব দ্যা টাউনে পৌর শহরের সর্বত্র আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চামচ প্রতীকের এই প্রার্থী। আরেক প্রার্থী সাবেক পৌর প্রশাসক তফজ্জুল হোসেন বয়সের দিক ও অভিজ্ঞতার বিচারে এবং জনগণের সমর্থনে শেষ বয়সে নির্বাচিত হতে পারেন এই প্রার্থী এমনটাই মনে করছেন সচেতন মহল। সব কিছুর সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন আরেক প্রার্থী মোহাম্মদ আব্দুস সবুর, মোবাইল প্রতীক নিয়ে ইতিমধ্যে পৌরসভায় ব্যপক সাড়া ফেলেছেন এই প্রার্থী সব কিছুর হিসেব মিলাতে গেলে নির্বাচনে বাজিমাত করতে পারেন এই প্রার্থী। অপর প্রার্থীদের মধ্যে আরো চমক দেখাতে পারেন কম্পিউটার প্রতীকের আহবাব হোসেন সাজু, হেলমেট প্রতীকের আব্দুল কুদ্দুস টিটু, হ্যাঙ্গার প্রতীকের আব্দুস সামাদ আজাদ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রিকশা চালক বলেন, দিনমজুর হিসেবে কাজ করি যা পাই তা দিয়ে চলে। এবারের নির্বাচনে যেই নির্বাচিত হোক না কেন আমরা যেন সব সময় পাশে পাই এটাই চাওয়া।তবে সব কিছু ছাপিয়ে আঞ্চলিকতা ও ভোটারদের নীরবতা নতুন মোড় নিচ্ছে নির্বাচনী মাঠের। শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা ছাড়া জানা যাবে না এবারের মেয়র প্রার্থীর নাম।