সিলেট

ওসমানীনগরে সংঘর্ষ: পুলিশের মামলায় আসামি ৩০৩

ওসমানীনগরের তাজপুরবাজারে বৃহস্পতিবারে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় ওসমানীনগরে পুলিশ অ্যাসল্ট মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসআই স্বাধীন চন্দ্র তালুকদার বাদী হয়ে শুক্রবার (১০ জুন) বিকেলে ওসমানীনগর থানায় এ মামলা (০৬(০৬)২০২২) দায়ের করেন।পুলিশ অ্যাসল্ট মামলায় তারেক মিয়া, রাজু আহমদ ও মো. কবিরের নামোল্লেখ করে উভয় পক্ষের অজ্ঞাতনাম ৩০০ জনকে আসামি করা হয়।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (৯ জুন) দুপুর ১টায় ওসমানীনগর থানার তাজপুর ডিগ্রী কলেজের ক্যাম্পাসে এইচএসসি ২য় বর্ষের ছাত্র উপজেলার কাদিপুর গ্রামের শায়েস্তা মিয়ার ছেলে তারেক মিয়া (২২) এবং একই কলেজের এইচএসসি ১ম বর্ষের ছাত্র দির গয়াসপুর গ্রামের তেরাব আলীর ছেলে কবির মিয়া (২৩) মধ্যে সিনিয়র-জুনিয়র বিষয় নিয়ে তর্কাতর্কি হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটে। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে আপোষ মীমাংসা চলমান থাকা অবস্থায় বিরোধটি ওই দুই ছাত্রের গ্রামের লোকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।

এর ধারাবাহিকতায় অভিযুক্ত তারেক মিয়ার পক্ষে কাদিপুর গ্রামবাসীসহ অন্যান্য এলাকার প্রায় ১৫০ জন অজ্ঞাতনামা লোকজন এবং অভিযুক্ত কবির মিয়ার পক্ষে দিগরগয়াসপুর, কাশিপাড়া গ্রামবাসীসহ অন্যান্য এলাকার প্রায় ১৫০ জন অজ্ঞাতনামা লোকজন দু’পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ইট পাটকেল নিক্ষেপসহ ভাঙচুর করে। ঢাকা-সিলেট মহা-সড়ক অবৈধভাবে অবরোধ করে।এ সময় দফায় দফায় পরস্পর সংঘর্ষে লিপ্ত হয় তারা। তাজপুর বাজারের একাধিক দোকান-পাট ভাঙচুর করে লক্ষাধিক টাকা ক্ষতিসাধন করে।

অভিযোগে বলা হয়, এসআই স্বাধীন চন্দ্র পুলিশসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এ সময় স্থানীয় তাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কলক পালসহ আরো গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। সবাই মিলে উভয় পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। এক পর্যায় হ্যান্ড মাইকের মাধ্যমে দাঙ্গা অনুষ্ঠানকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে এবং বেআইনী কার্যক্রম বন্ধের জন্য মৌখিকভাবে অনুরোধ করেন এসআই স্বাধীন। দাঙ্গাকারীদের বন্ধ করতে না পারায় উভয় পক্ষের উপর লাঠি চার্জ করাসহ বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহন করেন। কোনভাবেই পক্ষকে দমিয়ে রাখতে না পারায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাাবিক করার লক্ষে শর্টগান থেকে ১০ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়া হয়। স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রনে আসার পর ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাজপুর বাজারের সকল দোকান পাট শুক্রবার (১০ জুন) সকাল ১০ পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেন।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ঘটনায় অজ্ঞাতনামা দাঙ্গাকারীদের দ্বারা ঘটনাস্থলের সরকারি দায়িত্বে নিয়োজিত থাকা অবস্থায় এসআই/নি: শাহ আলম মিয়া, তৌফিকুল ইসলাম, সারোয়ার হোসেন আহত হন।

ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাইন উদ্দিন পুলিশ অ্যাসল্ট মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মামলার এজাহারভূক্ত আসামিসহ ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে এখনও গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। আসামি গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Back to top button