নেতিবাচক মন্তব্যকারিরা কি লজ্জিত হলেন?

তোফায়েল আহমদঃ কোনো বাবা মায়ের কিশোরী কন্যা নিখোঁজ হলেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেতিবাচক মন্তব্য করেন অনেকেই, অনেক ক্ষেত্রে নেতিবাচক সেই কথাবার্তাগুলো সঠিক হয় তবে সব ক্ষেত্রে নয়। যখন আপনি শুনবেন হারিয়ে যাওয়া সেই কিশোরী কন্যার লাশ উদ্ধার হয়েছে তখন সেইসব নেতিবাচক মন্তব্যকারিরা লজ্জা পান কিনা সেই প্রশ্ন রেখে একটি মর্মান্তিক খবর জানাচ্ছি। কুলাউড়ায় নিখোঁজের দুই দিন পর পনেরো বছরের স্কুল শিক্ষার্থী নাসিফা জান্নাত আনজুমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার বিকালে বাড়ির পাশের একটি জলাশয় থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানোর জন্য প্রস্তুতি চলছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছে পুলিশ। তবে কিভাবে তার মৃত্যু তা নিয়ে বিস্তারিত কিছুই জানা যায়নি।
নিহত নাসিফা জান্নাত আনজুম কুলাউড়া উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের দাউদপুর গ্রামের নাসিমা আক্তার এর মেয়ে। সে শ্রীপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
ওই স্কুলছাত্রী বৃহস্পতিবার (১২ জুন)সকালে কোচিং সেন্টারে যাওয়ার জন্য ব্রাহ্মণ্বণবাজার ইউনিয়নের দাউদপুর গ্রাম থেকে বের হয়ে আর বাড়ি ফিরেনি। সে উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের দাউদপুর গ্রামের বাসিন্দা।
নিখোঁজ এর পর অনেক খোজাখুজির করেও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। শনিবার বিকাল ৫ টার দিকে বাড়ির পাশের একটি জলাশয় থেকে আনজুমের নিথর মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে কুলাউড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে।
মর্মান্তিক এই সংবাদ শেষ করছি তাদের দিয়ে যারা এই নাফিসাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেতিবাচক মন্তব্য করেছিলেন, তারা কি নাফিসার মৃত্যুর খবরে লজ্জিত হয়েছেন। আপনি নেতিবাচক মন্তব্যের আগে নাফিসার জায়গায় আপনার মেয়ে বা বোনকে রেখে দেখবেন এরকম মন্তব্য করা ঠিক হয়েছিলো কিনা।