বিয়ানীবাজার কোরবানির পশু জ বা ই করতে গিয়ে ২৫ জন আ হত

টাইমস ডেস্কঃ পবিত্র ঈদুল আজহায় কোরবানির পশু জবাই ও মাংস কাটাকাটির সময় ২৫ জন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে অধিকাংশই প্রশিক্ষণ ছাড়া গরু জবাইয়ের কাজে নেমেছিলেন।
বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, আহতদের বেশির ভাগই গরু জবাই করার সময় গরুর লাথি বা গুতা খেয়ে আহত হয়েছেন। তবে তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক না হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। শনিবার (৭ জুন) সকাল থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত গরুর আক্রমণে আহত ব্যক্তিরা বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য আসেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শুধু এই ২৫ জনই নয়, প্রতিটি গ্রামেই কোরবানির পশু জবাই করতে গিয়ে অনেকে আহত হয়েছেন। তারা কেউই প্রশিক্ষিত নন, তাই গরু জবাইয়ের আগে গরুকে মাটিতে শোয়ানোর কৌশল না জানায় এভাবে আহত হয়েছেন।
দাসউরা গ্রামের ইতালি প্রবাসী আব্দুল আহাদের দুটি গরু জবাই করতে গিয়ে একটি গরুকে মাটিতে শোয়ানোর চেষ্টা করার সময় গরুর শক্তির কাছে পরাজিত হয়ে সাহাব উদ্দিন নামে একজন গরুর লাথি খেয়ে মাথায় আঘাত পেয়েছেন। লাথি খেয়ে তার কপালে জখম হয়। পরে তাকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
গরু জবাই বিষয়ে প্রশিক্ষিত ও পেশাদার, তিলপারা ইউনিয়নের মাসুক মিয়া বলেন, ‘ গরু জবাই করেন ইমাম সাহেব, তবে গরুকে শোয়াতে আরো দুচারজন মানুষ লাগে। এখন যারা গরু জবাই কাজে আসেন, তারা মূলত জবাইয়ের আগে গরুর সঙ্গে কীভাবে আচরণ করতে হবে, গরুর পা কীভাবে বাঁধতে হবে, কিভাবে ধরতে হবে- তা জানেন না। একারণেই গরু শোয়ানোর সময় গরুর হামলার শিকার হন।
এ বিষয়ে বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মুহাম্মদ মনিরুল হক জানান, সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে ২৫ জন আহত হয়ে হাসপাতালে এসেছেন। কারো পায়ে, কারো হাতে, কারো মাথায় আঘাত লেগেছে। তবে তাদের আঘাত গুরুতর না হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।