বিয়ানীবাজার টাইমসঃ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে পুলিশের গুলিতে নিহত দৈনিক নয়া দিগন্তের সিলেট ব্যুরো ও দৈনিক জালালাবাদের স্টাফ রিপোর্টার শহীদ সাংবাদিক আবু তাহের মো: তুরাবের নামে চত্বর নির্মাণের জন্য ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করা হয়েছে। ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করেন, জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহি পরিষদের সদস্য, ঢাকা মহানগর উত্তরের আমীর, সিলেট-৬ (বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জ) সংসদীয় আসনের সংসদ পদপ্রার্থী মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
এসময় তিনি বলেন, সাংবাদিক তুরাব ছিলেন সত্যের পক্ষে, মানবতার পক্ষে, একারনেই তার মতো প্রতিভাবান একজন সাংবাদিককে ফ্যাসিস্টের নির্দেশে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আমাদের হৃদয় এখোনো ক্ষতবিক্ষত, আমরা তুরাব হত্যায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নেয়ার দাবী জানাই।
রবিবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে বিয়ানীবাজার পৌরশহরের উত্তর বাজাঁজারডাকবাংলোর নিচে প্রধান সড়কের চত্বরে এ ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করা হয়।
জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা সেলিম উদ্দিন বিয়ানীবাজারবাসীর এমন উদ্দ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে আরও বলেন, শুধু চত্বর নয় তার নামে সড়কও নামকরন করতে হবে যাতে শহীদ আবু তুরাবের স্মৃতিচিহ্ন বিয়ানীবাজারের সব জায়গায় থাকে।
তিনি বলেন, ফ্যাসিষ্ট হাসিনা সরকার ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে জুলাই-আগষ্টে দেশে গণহত্যা চালিয়েছে। আর তার এসব হত্যাযজ্ঞের সংবাদ যাতে দেশবাসী না জানতে পারে সেজন্য দেশের ইন্টারনেট শাটডাউন, ছাত্র জনতার পাশাপাশি সাংবাদিক হত্যাসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষকে হত্যা করেছে। আর এসব অপকর্মের মাস্টার মাইন্ড ছিল হাসিনা, এখন সময় এসেছে সৎ, আদর্শ ও মানবিক গুনাবলীসম্পন্ন নের্তৃত্ব তৈরি করতে হবে যাতে আধিপাত্যবাদের বিরুদ্ধে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমরা সবসময় সোচ্চার থাকতে পারি।
সিলেটের জেলা প্রশাসক নামকরণ সংক্রান্ত চত্বর নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছেন বলে জানিয়ে তুরাবের বড় ভাই আবু জাফর জাবুর বলেন, তার ভাইকে হত্যার পর আলামত নষ্টের চেষ্ঠা করা হয়েছে। মামলা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার পরিকল্পনা হয়েছে। তিনি হত্যাকান্ডে জড়িত সকল পুলিশ কর্মকর্তাদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবী জানান।
ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন অনুষ্ঠানে পৌর জামায়াত নেতা তানভীর এলাহি মজুমদারের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর আবুল খায়ের, সেক্রেটারী আবুল কাশেম, সহকারি সেক্রেটারি লাউতা ইউপি চেয়ারম্যান দেলওয়ার হোসেন, সহকারি সেক্রেটারি আব্দুল হামিদ, শ্রমিক কল্যান ফেডারেশনের সভাপতি আশিকুর রহমান হেলাল, উপজেলা জামায়াত নেতা মাওলানা আমির উদ্দিন, পৌর জামায়াত নেতা শিহাবুল, সাইবুল ইসলাম, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ছাত্রনেতা আমিনুল ইসলাম, সাপ্তাহিক আগামী প্রজন্ম সম্পাদক, সিনিয়র সাংবাদিক মিলাদ মো. জয়নুল ইসলাম, বিয়ানীবাজার প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক তোফায়েল আহমদ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সিলেট নগরীতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সাংবাদিক আবু তাহের মোঃ তুরাব। তিনি বিয়ানীবাজার প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি পৌরসভার ফতেহপুর গ্রামের মাস্টার আব্দুর রহীমের ছেলে।
