বিয়ানীবাজারে বন্যায় ৯০ গ্রাম প্লাবিত, আশ্রয়কেন্দ্রে ৯০ পরিবার, পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীর উপহার

বিয়ানীবাজার টাইমসঃ সিলেটজুড়ে টানা বৃষ্টি ও ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে সীমান্তবর্তী বিয়ানীবাজার উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ৯০ টি গ্রাম বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। রাস্তা-ঘাট বাড়িঘর পানিতে ডুবে যাওয়ায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষ ছুটছেন নিরাপদ আশ্রয়স্থলে। বন্যার পানিতে বারইগ্রাম-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের কয়েকটি জায়গায় পানি উঠে যাওয়ায় যান চলাচল ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া গ্রামীন রাস্তাগুলোর বিভিন্ন জায়গায় হাটুপানি দেখা গেছে। বিয়ানীবাজারের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া সুরমা, কুশিয়ারা ও সুনাই নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় বন্যা পরিস্থিতি সময় সময় অবনতি হচ্ছে।
বিয়ানীবাজার উপজেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুর পর্যন্ত উপজেলার প্রায় প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌরসভার কিছু অংশ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। উপজেলার ৯০টি গ্রাম ন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে, বন্যায় পানিবন্দি মানুষের সংখ্যা প্রায় ২৫ হাজার। এখন পর্যন্ত বন্যার্থ্য মানুষের থাকার জন্য ৬৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে, আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর মধ্যে ১৪টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৯৮টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ২৭ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসাবে শুকনো প্যাকেট খাবার সরবরাহ করা হয়েছে।
বুধবার বিকালে সরেজমিনে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া শুকনো খাবার নিয়ে উপজেলার মুড়িয়া ইউনিয়নের ছোটদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে আসা ১১ পরিবারকে দেখতে যান বিয়ানীবাজার উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কাশেম পল্লব ও বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা কাজী শামীম। এসময় শুকনো খাবার বিতরনের পাশাপাশি তাদের খবর নেন, অসুবিধা হলে কন্ট্রোলরুমের নাম্বারে যোগাযোগের জন্য বলেন।
বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা কাজী শামীম বলেন, বিয়ানীবাজারের প্রায় সব ইউনিয়ন ও পৌরসভা বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে। বন্যায় যাদের ঘরবাড়ি বসবাসের অনুপোযোগী তাদেরকে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে আশ্রয় নেয়ার কথা বলেন। এছাড়া যেকোনো সমস্যায় উপজেলা কন্ট্রোল রুমের নাম্বারে অথবা সংকটকালীন জাতীয় সেবার নাম্বার ৩৩৩ যোগাযোগ করার অনুরোধ করেন।
বিয়ানীবাজার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম পল্লব বলেন, সরকারি ত্রানের উপর নির্ভর না করে প্রতিবছর সিলেটে কেনো বন্যা হয় সেই সমস্যা খুজে সমাধানের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে বন্যার সঠিক কারন তুলে ধরে তা নিরসনে কাজ করার আহ্বান জানান।