নৌকার পোলিং এজেন্টকে বাঁধলেন নির্বাচন কর্মকর্তা

নিউজ ডেস্ক- নোয়াখালীর সদর উপজেলার ৩নং নোয়ান্নই ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের শিবপুর মুসলিম হাইস্কুল কেন্দ্রে ভোট প্রদানে অনিয়মের অভিযোগে এক নারী পোলিং এজেন্টকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। গতকাল বেলা সোয়া ১১টার দিকে তাকে এই সাজা দেয়া হয়। প্রিজাইডিং কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন ভূঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ওই বিদ্যালয়ে দায়িত্বে থাকা পোলিং এজেন্ট সুমি আক্তার (২৬)কে কেন্দ্রে ভোট প্রদানে অনিয়মের অভিযোগে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল আলম এই সাজা দেন। অপরদিকে, ভোটগ্রহণ ও প্রদানে অনিয়মের অভিযোগে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার মো. আলী হোসেন (৪৮)কে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। একই সাথে নির্বাচন চলাকালীন সময় পর্যন্ত প্রিজাইডিং অফিসারের নিজ হেফাজতে রাখার নির্দেশ প্রদান করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত সুমি আক্তার (২৬) উপজেলার শিবপুর গ্রামের মনির চেয়ারম্যান বাড়ির রিয়াজ আহম্মেদের স্ত্রী।
অপর দিকে নোয়াখালীর সদর উপজেলায় এক পোলিং এজেন্টকে দড়ি দিয়ে বাঁধার অভিযোগ উঠেছে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মেসবাহ উদ্দিনের বিরুদ্ধে। গতকাল দুপুর পৌনে ২টার দিকে উপজেলার নোয়াখালী ইউনিয়নের পশ্চিম চর উড়িয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটে। সূত্রে জানা যায়, নোয়াখালী ইউনিয়নের পশ্চিম চর উড়িয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৪, ৫ ও ৬নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার প্রার্থীর (তালগাছ প্রতীক) পোলিং এজেন্টের দায়িত্ব পালন করছিলেন সেলিম। এক নারী ভোটারকে ইভিএমে ভোট দেয়ার পদ্ধতি দেখিয়ে দেয়ার অভিযোগে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মেসবাহ উদ্দিন সেলিমকে স্কুলের পিলারের সঙ্গে বেঁধে রাখেন।
ভুক্তভোগী মো. সেলিম বলেন, নারীরা কখনো ইভিএমে ভোট দেয়নি। আমি তাদের দেখিয়ে দিয়েছি। এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সদর উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জুলকারনাইন বলেন, সাময়িক সময়ের জন্য সম্ভবত এই ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে তিনি আর কিছু জানেন না। কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা প্রিজাইডিং অফিসার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমাকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বলছেন বাঁধন খুলে দিতে। আমি খুলে দিয়েছি। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মেসবাহ উদ্দিন এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি। তিনি বলেন, নির্বাচনী নিয়ম আছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যারা ব্যবস্থা নিয়েছে তারা বলতে পারবে।
একটি নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার প্রধান। তারা কথা বলবেন। ভুক্তভোগীর অভিযোগের বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, অপরাধী অভিযোগ করে কিভাবে। প্রসঙ্গত, নোয়াখালীর সদর উপজেলার ৩টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৩৫ জন, সাধারণ সদস্যপদে ৯৫ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা সদস্যপদে ৬০ জনসহ মোট ১৯০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৩৮টি কেন্দ্রের ২৫৯টি বুথে ইভিএমে বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে।