নিউজ ডেস্ক- বরিশালের সদর উপজেলায় একটি দোকানে চুরি করতে ঢুকে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে চোর। পরে জনতার হাতে ধরা পড়ে পিটুনি খাওয়ার ভয়ে জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করে উদ্ধারের জন্য পুলিশের সহায়তা চায় সে।
উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়নের এআরখান বাজার এলাকা থেকে বুধবার সকালে ইয়াছিন খান নামের ওই চোরকে উদ্ধারের পর থানায় নেওয়া হয় বলে বন্দর থানার ওসি আসাদুজ্জামান জানান।
৪১ বছর বয়সী ইয়াছিন ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার বাসিন্দা। বরিশাল নগরীর কালুশাহ সড়কের একটি ভাড়া বাসায় থাকে সে।
ওসি বলেন, বুধবার ভোরে জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ থেকে তাদের কাছে তথ্য আসে চরকাউয়া ইউনিয়নের এআরখান বাজার এলাকায় এক ব্যক্তি বিপদে পড়েছেন। ওই ব্যক্তি জরুরি সেবার কনফারেন্সের মাধ্যমে থানার ডিউটি অফিসারের সঙ্গেও কথা বলেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও ওই ব্যক্তিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে তার মোবাইলে ফোন করে জানা যায় সে ঝন্টু মিয়ার দোকানে অবস্থান করছেন।
“দোকান থেকে বের হতে তার অসুবিধা কোথায় পুলিশ সদস্যরা জানতে চাইলে ইয়াছিন বলেন যে, সে গভীর রাতে চুরি করতে ঢুকেছিলো। কিন্তু চুরির মালামাল গুছিয়ে ব্যাগ ভর্তি করতে তার বেশি সময় লেগেছে। এর মধ্যে সময় গড়িয়ে সকাল হয়ে যায় এবং দোকানের আশেপাশে লোকজন যাতায়াতও শুরু করে দেয়। এ অবস্থায় সেখান থেকে বের হলে মারধরের শিকার হতো। এজন্য বুদ্ধি করে ৯৯৯ নম্বরে কল করেছে।”
পরে দোকান খুলে সহায়তাপ্রার্থী ওই চোরকে উদ্ধার করে আটক করা হয় বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
ওসি আসাদুজ্জামান বলেন, “ধরা পড়ে গেলে স্থানীয়দের হাতে মারধরের শিকার হতে পারে, এই ভয় থেকে ওই ব্যক্তি ৯৯৯ নম্বরে কল করে সহায়তা চায়। তাকে উদ্ধারের পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে পেশায় চোর বলে স্বীকার করে।”
এ বিষয়ে দোকান মালিক ঝন্টু বলেন, “পুলিশ আমার দোকানের কাছে আসলেও কিছুই অনুমান করতে পারিনি। পরে দোকানের ভেতর থেকে একজনকে বের করায় বুঝতে পারি চোর ধরেছে। এরপর শুনলাম যে, ওই চোর ৯৯৯ নম্বরে কল করে সহায়তা চেয়েছে।“
তিনি আরও বলেন, “দোকানের মালামাল কিছুই খোয়া যায়নি। তবে চোর সবকিছু এলোমেলো করে রেখেছে। ভালো ভালো জিনিস ব্যাগে ভরেছিলো; কিন্তু নিতে পারেনি।
চরকাউয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম বলেন, এক চোর ৯৯৯ নম্বরে কল করে নিজেকে জনতার পিটুনি থেকে বাঁচিয়েছে বলে শুনেছি। এই ঘটনা নিয়ে এখন আলোচনা হচ্ছে। যে শুনছে সেই অবাক হচ্ছে।
