বিয়ানীবাজার পৌর নির্বাচন, বিএনপি-জামায়াতের ভোট কার বাক্সে?

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বিয়ানীবাজার পৌর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল বুধবার। নির্বাচনকে ঘিরে চলচে শেষ সময়ের কৌশলী খেলা। শেষ কৌশলে যিনি জিতবেন তিনিই হবেন আগামীর পৌরমেয়র। পৌরসভায় প্রতিদ্বন্দিতাকারি ১০ প্রার্থীর মধ্যে মূল আলোচনায় রয়েছেন ৫ প্রার্থী, তবে শেষ মুহুর্তে এসে চতুর্মুখী লড়াইয়ের আভাস পাওয়া গেছে।
নির্বাচনের ভোটের মাঠে ফ্যাক্টর জামায়াত বিএনপির ভোট। সরাসরি দলীয়ভাবে নির্বাচনে অংশ নেয়নি বিএনপি বা জামায়াতের কোনো প্রার্থী। তাই তাদের ভোট যিনি পাবেন তিনি হতে পারেন বিয়ানীবাজার পৌরসভার মেয়র এমন মন্তব্য ভোটারদের। পৌর এলাকার ভোটারদের সাথে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া যায়।
বিএনপির প্রভাবশালী এক নেতা আঞ্চলিকতার খাতিরে নৌকার প্রার্থী আব্দুশ শুকুরের পক্ষে কাজ করেছেন বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে। তবে মধ্যম সারির উপজেলা ও পৌর বিএনপির অনেক নেতাকর্মী স্বতন্ত্র প্রার্থী মোবাইল প্রতিকের আব্দুস সবুরের পক্ষে অনেকটা প্রকাশ্যে কাজ করছেন বলে অনেক সুত্র নিশ্চিত করেছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আঞ্চলিকতা, গোষ্ঠীর খাতিরে অন্যান্য স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মৌন সমর্থন করছেন নেতাকর্মীরা।
বিএনপির একাধিক নেতার সাথে কথা বলে জানা গেছে, দলীয় কোনো নির্দেশনা নেই, একক কোনো প্রার্থী বিএনপি ঘরানার ভোট পাবেননা, তবে বেশীরভাগ নেতাকর্মী স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুস সবুরের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।
বিয়ানীবাজার উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক ছরওয়ার হোসেন জানান, তারা নির্বাচনে নেই, নেতাকর্মীদেরও নির্বাচন থেকে দূরে থাকতে দলীয় নির্দেশনা রয়েছে। ব্যাক্তিগতভাবে অনেকেই অনেক প্রার্থীর সাথে আছেন বলে শুনেছি, দলীয় হাই কমান্ড এব্যাপারে ব্যবস্থা নিবে।
এদিকে, জামায়াত ইসলামীর ভোট নিয়ে স্থানীয়ভাবে দ্বিধাবিভক্ত নেতাকর্মীরা। দুই স্বতন্ত্রপ্রার্থী মোবাইল প্রতিকের আব্দুস সবুর ও হেংগার প্রতিকের প্রভাষক আব্দুস সামাদ আজাদ পাবেন জামায়াত ঘরানার ভোট।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জামায়াতের এক নেতা জানান, শেষ মুহুর্তে এগিয়ে থাকা প্রার্থীকে বেছে নিতে পারেন জামায়াত ঘরানার ভোটাররা।
এব্যাপারে জামায়াতের সুরা সদস্য ফরিদ আল মামুন জানান, জামায়াত সব ধরনের নির্বাচন বয়কট করেছে, তাই এব্যাপারে দলীয় কোনো নির্দেশনা বা বক্তব্য নেই।
উল্লেখ্য, বিয়ানীবাজার পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামীলীগ সমর্থিত নৌকা প্রতিক নিয়ে লড়ছেন আব্দুশ শুকুর, জাতীয় পার্টি সমর্থিত লাঙ্গল প্রতিকের সুনাম উদ্দিন, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি সমর্থিত কাস্তে প্রতিকের এডভোকেট আবুল কাশেম, চামচ প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থী জিএস ফারুকুল হক, জগ প্রতিক নিয়ে সাবেক পৌর প্রশাসক তফজ্জুল হোসেন, মোবাইল প্রতিক নিয়ে হাজী আব্দুস সবুর, কম্পিউটার প্রতিক নিয়ে আহবাব হোসেন সাজু, হেঙ্গার প্রতিক নিয়ে প্রভাষক আব্দুস সামাদ আজাদ, হেলমেট প্রতিক নিয়ে আব্দুল কুদ্দুছ টিটু, নারিকেল গাছ প্রতিক নিয়ে অজি উদ্দিন। এছাড়াও ৯টি ওয়ার্ডে সাধারন কাউন্সিলর পদে ৪৮ ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১০ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করছেন।