বিয়ানীবাজার সংবাদ

বিয়ানীবাজার পৌর নির্বাচন, নৌকার জয়ে ফ্যাক্ট তিন স্বতন্ত্র প্রার্থী!

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বিয়ানীবাজারে আসন্ন পৌর নির্বাচনে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী সদ্য সাবেক মেয়র মোঃ আব্দুশ শুকুর। নিজের দলের তিন স্বতন্ত্র প্রার্থী তার জয়ে প্রধান বাধা, তবুও সময়ের সাথে সাথে এগিয়ে যাচ্ছেন এ প্রার্থী, শেষ সময়ে এসে ভোটে নৌকা ফিরবে এই আশা কর্মী সমর্থকদের।

আগামী ১৫ জুন বিয়ানীবাজার পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে নির্বাচনে নির্বাচন করছেন ১০ প্রার্থী। দ্বিতীয়বারের মতো সদ্য সাবেক মেয়র আব্দুশ শুকুর আবারো নৌকার কান্ডারি হয়েছেন। দল মনোনয়ন দিলেও তার দলের তিন প্রার্থী জিএস ফারুকুল হক (চামচ), আব্দুল কুদ্দুছ টিটু (হ্যালমেট) ও আহবাব হোসেন সাজু (কম্পিউটার) স্বতন্ত্র হিসাবে নির্বাচন করায় নৌকার প্রার্থী পড়েছেন বিপাকে। ইতিমধ্যে আওয়ামীলীগ থেকে তিন বিদ্রোহী প্রার্থীকে বহিষ্কার করার পরও মাঠে হয়নি ভোটের অবস্থার পরিবর্তন। নিজ নিজ আঞ্চলিকতা, গোষ্ঠীর গ্যাড়াকলে পড়েছেন নেতাকর্মীরা। মুখ না খুলে নীরব রয়েছেন বেশীরভাগ নেতাকর্মী, বুজা যাচ্ছে শেষ মুহুর্তে দল জিতাবেন না জেতাবেন নিজের পছন্দের প্রার্থী।

যে বাধায় আটকা পড়তে পারেন নৌকার প্রার্থী-
নৌকার তরী তীরে ভেড়াতে নৌকার প্রার্থীর প্রধান বাধা চামচ প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফারুকুল হক। নৌকার প্রার্থী আব্দুশ শুকুর এবং ফারুকুল হক একই গ্রামের হওয়া ২, ৩ ও ৪ নাম্বার ভোটকেন্দ্রে এর প্রভাব পড়বে বেশী। ফারুকুল হকের পক্ষে স্থানীয় লোকজনের ব্যাপক উপস্থিতি নৌকার ভয়ের প্রধান কারন। যদিও কসবা-খাসা গ্রামের ঐক্যের প্রার্থী হিসাবে আব্দুশ শুকুরকে ঘোষনা করা হয়েছে তবুও সাধারন ভোটার কতটা তা মেনেছেন তা দেখা যাবে ভোটের দিন।

১নং কেন্দ্র শ্রীধরা এলাকায় হ্যালমেট প্রতিকের বিদ্রোহী আরেক প্রার্থী আব্দুল কুদ্দুছ টিটুর বাড়ি, তার পক্ষে আওয়ামীলীগের বেশীরভাগ স্থানীয় নেতাকর্মী কাজ করছেন। সেক্ষেত্রে এই কেন্দ্রেও নৌকার ভোটে একটি প্রভাব পড়বে।

৫ ও ৬নং কেন্দ্রে স্বতন্ত্র প্রার্থী শহীদ পরিবারের সন্তান সাবেক পৌর প্রশাসক তফজ্জুল হোসেনের এলাকা এবং এই এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী ফারুকুল হকের পক্ষে একটি বলয় সরাসরি অবস্থান নেয়ায় এই দুই কেন্দ্রেও নৌকার ভোটে পড়বে প্রভাব।

৭নং কেন্দ্রে কোনো প্রার্থীর বাড়ি না থাকায় এই কেন্দ্রে অনেকটাই ওপেন থাকবে সব প্রার্থীদের জন্য তবে এই কেন্দ্রে ভোটে প্রভাব ফেলবেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আহবাব হোসেন সাজু ও প্রভাষক আব্দুস সামাদ আজাদ।

৮নং কেন্দ্রে কম্পিউটার প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আহবাব হোসেন সাজু ও আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী হেংগার প্রতিকের প্রভাষক আব্দুস সামাদ আজাদের এলাকা এই কারনে এখানেও নৌকার ভোটে প্রভাব ফেলবেন এই দুই প্রার্থী। স্বতন্ত্র প্রার্থী আহবাব হোসেন সাজুর সাথে স্থানীয় অনেক তৃনমুল আওয়ামীলীগ নেতাকর্মী কাজ করছেন তাই এই কেন্দ্রে তার প্রভাব থাকবে বেশী, যদিও একই এলাকার সন্তান বিয়ানীবাজার উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কাশেম পল্লব ও ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ জামাল হোসেন নৌকার পক্ষে নিরলসভাবে কাজ করছেন নৌকাকে জেতাতে।

৯নং কেন্দ্রে যদিও কোনো প্রার্থীর বাড়ি নেই তবে সে কেন্দ্রে ভোটে প্রভাব ফেলবেন প্রভাষক আব্দুস সামাদ আজাদ ও আহবাব হোসেন সাজু।

এসব হিসাব-নিকাশ পালটে যেতে পারে নৌকা প্রতিকের কারনে। বিগত নির্বাচনগুলোতে অনেক সময় নৌকার প্রার্থীরা পিছিয়ে থাকলেও শেষ সময়ে এসে মান অভিমান ভুলে নেতাকর্মীরা নৌকাকে জিতিয়ে দিয়েছিলেন, সেই আশা রয়েছে নেতাকর্মীদের। তবে সবকিছু ছাপিয়ে কে জিতছেন নির্বাচন বসছেন মেয়রের চেয়ারে তা জানা যাবে ১৫ জুন সন্ধ্যায়।

Back to top button