নিউজ ডেস্কঃসিলেটের জৈন্তাপুরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কর্তৃক মহিষ আটকানোকে কেন্দ্র করে সিলেট-তামাবিল সড়ক দেড় ঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন পরিবহন শ্রমিক ও জনতা। বুধবার (১ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জৈন্তাপুর বাজার থেকে ডিআই ট্রাকে করে ৩টি মহিষ সিলেটের দিকে নিয়ে আসার পথে বুধবার সকাল ১০টার দিকে সারিঘাট বাজারে জৈন্তাপুর বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা সেই গাড়ি আটক করে। মহিষগুলো ভারতীয় এবং চোরাই পথে দেশে নিয়ে আসা হয়েছে এমন অভিযোগে এগুলো আটক করে বিজিবি। এসময় মহিষ নিয়ে আসা গাড়িচালক বিজিবিকে জানান- এগুলো জৈন্তাপুর বাজার থেকে ক্রয় করে নিয়ে আসা হয়েছে। এসময় ক্রয়-বিক্রয়ের রশিদও বিজিবিকে দেখান পিকআপ চালক। কিন্তু তারপরও বিজিবি মহিষ না ছাড়লে পরিবহন শ্রমিক ও স্থানীয় জনতা উত্তেজিত হয়ে সিলেট-তামাবিল সড়ক অবরোধ করেন।
খবর পেয়ে বেলা ১১টার দিকে জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম দস্তগীরের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় জনতাকে বুঝিয়ে শান্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। পরে ক্রয়-বিক্রয়ের রশিদ দেখে মহিষসহ গাড়ি ছেড়ে দেয় পুলিশ। পরিস্থিতি শান্ত হলে দুপুর ১২টার দিকে সিলেট-তামাবিল সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এদিকে স্থানীয় জনতা ও পরিবিহন শ্রমিকরা অভিযোগ করে বলেন- মহিষ ক্রয়-বিক্রয়ের রশিদ দেখানোর পরও পিকআপ চালককে বিজিবি মারধর করেছে। ফলে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে সড়ক অবরোধ করেন।ওসি গোলাম দস্তগীর বলেন, মারধরের বিষয়টি আমরা নিশ্চিত নই। এ বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি।
এ বিষয়ে জানতে বিজিবি জৈন্তাপুর ক্যাম্পের কামান্ডার আব্দুর রহিম বলেন, সারিঘাট বাজারে গাড়িতে মহিষ দেখে বিজিবি সদস্যরা সিগন্যাল দিতেই গাড়িটি পালাতে চায় এবং আরেকটি গাড়ির সঙ্গে গিয়ে ধাক্কা খায়। এসময় মহিষ কোথা থেকে নিয়ে আসা হচ্ছে জিজ্ঞেস করলে ডিআই ট্রাক চালক মহিষগুলো ‘ভারতীয়’ বলে জানায়। আমরা এসময় মহিষ গাড়ি নামাতে বললে স্থানীয় কিছু জনতা ও পরিবহন শ্রকিরা বাধা দেয় এবং মারমুখী আচরণ করে। পরে কোথা থেকে মহিষ ক্রয়ের একটি রশিদ নিয়ে আসলে পুলিশ তা দেখে মহিষ ছেড়ে দেয়।
তিনি বলেন, প্রথমেই রশিদ দেখাতে পারলে আমরা এগুলো নিশ্চয় আটক করতাম না। আর মারধরের অভিযোগ মিথ্যা।
