মৌলভীবাজারে টাকার জন্য মাদ্রাসাছাত্রকে হত্যা করে চা শ্রমিক

নিউজ ডেস্ক- মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় মাদ্রাসাছাত্র তুহিন আহমদ (১৫) হত্যাকাণ্ডের রহস্য আট দিন পর উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। হত্যাকারী আয়ান বাউরী (২০) নামক এক চা শ্রমিককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দিবাগত রাতে তাকে শমসেরনগরের ডাবলছড়া চা বাগান থেকে তাকে গ্রেফতার করে বুধবার সকালে মৌলভীবাজার আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতার আয়ান বাউরী মাদ্রাসাছাত্র তুহিনকে দা দিয়ে কোপ দিয়ে হত্যার কথা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
আদালতে ঘাতক আরও জানিয়েছে, সামনে দুর্গাপূজা, ঘাতকের কাছে টাকা পয়সা ছিল না। পানপুঞ্জির মালিকের ছেলে তুহিনের নিকট প্রচুর টাকা পয়সা থাকতে পারে ভেবে তাকে হত্যা করে সে।
এ ব্যাপারে কুলাউড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম জানান, মাদ্রাসাছাত্র তুহিনে পিতা পুঞ্জিতে অসুস্থ হয়ে পড়েন। বাবার খাবার নিয়ে যাওয়ার পথে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয় তুহিন। এর পর পরিবারের পক্ষ থেকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দেওয়ায় পুলিশ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে ক্লু বের করার চেষ্টা করে। অবশেষে তথ্য প্রযুক্তি ও পুলিশের তদন্তে একমাত্র হত্যাকারী শমসেরনগরের ডাবলছড়া চা বাগানের মৃত পুশ বাউরীর পুত্র চা শ্রমিক আয়ান বাউরীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। ধৃত চা শ্রমিক আয়ান বাউরী রাঙ্গিছড়া চা বাগানের শ্রমিক ছিল।
উল্লেখ্য, গত ১২ অক্টোবর রাঙ্গিছড়া চা বাগানের ১নং সেকশন থেকে তুহিন আহমদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের গাড়ে দায়ের কোপ ছিল। ঘটনার কিছু দূরবর্তী স্থান থেকে একটি ধারালো দা উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত তুহিন বাবনিয়া গ্রামের সাজ্জাদ মিয়ার পুত্র। স্থানীয় বাবনিয়া হাসিমপুর দাখিল মাদ্রাসার ৯ম শ্রেণির ছাত্র ছিল। তুহিন স্থানীয় রাঙ্গিছড়া বাজার থেকে চাল ডাল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনে পুঞ্জিতে অসুস্থ তার পিতার জন্যে নিয়ে যাওয়ার পথে খুন হয়।