বিশ্বনাথ

বিশ্বনাথে বৃদ্ধের পেনশনের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

নিউজ ডেস্ক- সিলেটের বিশ্বনাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘গুচ্ছগ্রাম আশ্রয়ন প্রকল্প-১ এর কাজে অর্থ বিনিয়োগের প্রলোভন দেখিয়ে এক নিরীহ বৃদ্ধের ৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। টাকা হারানো ওই বৃদ্ধ উপজেলার রামপাশা গ্রামের মৃত মিলফত উল্লাহর ছেলে হাজী ফয়েজ উল্লাহ (৬০)।

তিনি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সাবেক সিনিয়র স্টাফ। তার টাকা আত্মসাৎকারি দু’জন হচ্ছে- গোলাপগঞ্জ থানার ঢাকাদক্ষিণ বারকোট গ্রামের সিরাজ মাস্টারের ছেলে জয়নুল হক জাহাঙ্গীর ও দক্ষিণ সুরমা থানার খোজারখলা গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে সালেহ আহমদ। গত ২০১৭ ও ২০১৮ সালে বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে এই দুই প্রতারক তার কাছ থেকে সুকৌশলে হাতিয়ে নিয়েছে পেনশনের ওই টাকা। বছরের পর বছর শত চেষ্টা করেও তাদের কাছ থেকে টাকা উদ্ধার করতে পারেননি।

এঘটনায় তিনি নিজে বাদি হয়ে এ দুই প্রতারককে আসামি করে সিলেট জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছেন। বিশ্বনাথ সি.আর মামলা নাম্বার-০৩/২০২০ইং।

মামলার এজাহারে সূত্রে জানা গেছে, ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ওই চাকুরী থেকে সেচ্ছায় অবসর নেন হাজী ফয়েজ উল্লাহ। অবসরভাতা হিসেবে তিনি ১৭ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা পান। অভিযুক্তরা অবসরভাতা প্রাপ্তির খবর পেয়ে গ্রামের বাড়িতে গিয়ে ঘন ঘন তার অসুস্থতার খোঁজ-খবর নিতে শুরু করে। পাশাপাশি তাকে ‘গুচ্ছগ্রাম’ বিনিয়োগে মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে ওই টাকাগুলো নিয়ে যায়। নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত হওয়ার পর টাকা চাইলে কালক্ষেপন করতে তাকে অভিযুক্তরা। পরে পাওনা টাকা অস্বীকার করিয়া তাকে প্রাণে হত্যার হুমকিও দেয় তারা।

অভিযোগ অস্বীকার করে সালেহ আহমদ বলেন, ফয়েজ উল্লাহ নামের কাউকে আমি চিনি না। জয়নুল হক জাহাঙ্গীর আমার পূর্ব পরিচিত। তার আবদারে আমার নিজস্ব মোটরসাইকেলে ফয়েজ উল্লাহ’র বাড়িতে একদিন গিয়েছিলাম। তাদের মধ্যে কি কথা-বার্তা বা লেনদেন হয়েছে তা আমার জানা নেই।

জানতে চাইলে অভিযুক্ত জয়নুল হক জাহাঙ্গীর বলেন, যে অভিযোগ তিনি (ফয়েজ উল্লাহ) দিয়েছেন, সে বিষয়ে উনার সাথে আলাপ আলোচনা হয়েছে। কিছুটা টাকাও দেয়া হয়েছে। এটি সমাধানের পর্যায়ে আছে।

Back to top button