বিয়ানীবাজার টাইমসঃ বিয়ানীবাজারে করোনায় ভয়াবহ বিস্তার ঘটেছে। বুধবার (২৮ জুলাই) বিয়ানীবাজার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রিপোর্টে প্রথমবারের মতো এই উপজেলায় একসাথে সর্বাধিক ৫০জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে বিয়ানীবাজারে করোনা প্রমাণিত রোগীর সংখ্যা দাড়িয়েছে ৮০১ জনে। মাত্র ৭১ টি নমুনা পরীক্ষায় ৫০ জন শনাক্তের খবরে উপজেলা ছড়িয়ে পড়েছে আতংক। সাধারন মানুষের পাশাপাশি উপজেলা কমপ্লেক্সের একজন চিকিৎসক ডাঃ রাবেয়া বেগম এবং স্থানীয় শিশুরোগের ডাঃ মাছুম আহমদের করোনা আক্রান্তের খবরে এই আতংক কয়েকগুন বাড়িয়েছে।
বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম আলী খান চৌধুরী জানান, নমুনা দেয়ার সংখ্যা আগের থেকে প্রায় দ্বিগুন, পরীক্ষায় একটি বিশাল গোষ্ঠী করোনা শনাক্ত হওয়া উপজেলার জন্য একটি হুমকি। এ অবস্থা চলতে থাকলে পরিনতি খুব খারাপ হবে। তিনি এসময় সবাইকে বাড়িতে অবস্থানের পরামর্শ দেন।
এদিকে, উপজেলাব্যাপী করোনা ভাইরাসের ব্যাপক সংক্রমণ ঠেকাতে ও জনসাধারণকে সচেতন করতে মাঠে রয়েছে প্রশাসন, বিজিবি ও বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ। চলমান কঠোর লকডাউনে বুধবার উপজেলা প্রশাসনের সাথে দিনব্যাপী মাঠে ছিল বিজিবি ও জেলা পুলিশের পৃথক আরেকটি দল।
বুধবার সকাল থেকে পৌরশহরের প্রধান মোড় প্রমথ নাথ দাস রোডের সামনে অবস্থান নেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশিক নূর। আর শহরের বিভিন্ন বিপনী বিতানে অভিযান শুরু করেন সহকারি কমিশণার (ভূমি) মুশফিকুন নুর।
এসময় বিধিনিষেধ অমান্য করায় অনেক মানুষ ও প্রতিষ্ঠানকে অর্থদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। বিধিনিষেধ না মামলায় মোট ৩১টি মামলায় যান চালক, ব্যবসায়ী ও পথচারীর কাছ থেকে ৩৭ হাজার ৬০০ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএন) আশিক নুর জানান, সরকারের ঘোষিত কঠোর লকডাউন কার্যকর করতেই প্রশাসন মাঠে কাজ করছে। এসময় লকডাউনের সরকারি বিধিনিষেধ যারা মানছেন না তাদেরকে জরিমানার আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে।
