বিয়ানীবাজার সংবাদ

বিয়ানীবাজার-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের ভাঙা-খানাখন্দে ভোগান্তিতে তিন উপজেলার মানুষ

সিনিয়র প্রতিবেদকঃ সিলেট-বিয়ানীবাজার আঞ্চলিক সড়কের বিয়ানীবাজার অংশে প্রায় দুই কিলোমিটার খানাখন্দে ভাঙা রাস্তার জন্য ভোগান্তি পোহাচ্ছে বিয়ানীবাজার, জকিগঞ্জ এবং কানাইঘাট উপজেলার মানুষ। ঝুঁকি নিয়ে এই রাস্তা দিয়ে চলছে তিন উপজেলার যানবাহন, ঘটছে ছোটোখাটো দুর্ঘটনা, তবুও করার যেনো কিছু নেই। কিছুদিন পরপর রাস্তার এমন বেহাল দশা নিয়ে অনেকটাই এই অঞ্চলের মানুষ। বিয়ানীবাজারবাসীর জন্য বিকল্প সড়ক চন্দরপুর রাস্তার কাজে ধীরগতির কারনে সংস্কার কাজ হচ্ছে না শেষ। তবে সড়ক ও জনপথ বিভাগ সুত্রে জানা গেছে শীঘ্রই আবার সংস্কার হবে এই রাস্তায়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সিলেট- বিয়ানীবাজার আঞ্চলিক মহাসড়কের উপজেলার আলীনগর ও চারখাই ইউনিয়নের মধ্যে কয়েক জায়গা ব্যাপকভাবে ভেঙে গেছে, তবে প্রায় দুই কিলোমিটার জায়গায় অবস্থা একেবারে বেহাল। গাড়ির গতি সর্বনিম্ন করে পাড়ি দিতে হচ্ছে ভাঙাচোরা এই রাস্তা, এতে করে নষ্ট হচ্ছে মানুষের মূল্যবান সময়।

সাবুল নামের এক সিএনজি চালক বলেন, সিলেট-বিয়ানীবাজার আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করি দুদিন পরপর গাড়িতে কাজ করাতে হয়। দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কার না হলে আমাদের কোনো আর কোনো পথ থাকবে না চলাচলের।

আব্দুল হান্নান নামের এক যাত্রী বলেন, আমরা দীর্ঘ এক বছর থেকে প্রতিদিন এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করি কিন্তু কখনো মুখ ফুটে বলতে পারিনি। হাড়গোড় ভেঙ্গে যাওয়ার মত অবস্থায় ভোগান্তি সীমাহীন।

রাস্তার এই দুর্দশা নিয়ে সম্প্রতি আলোচিত ফেসবুক সেলিব্রেটি যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার সুমনের একটি বক্তব্য ভাইরাল হয়। তার বক্তব্যে উঠে আসে রাস্তা , বক্তব্যে তিনি অনেকটা মজার ছলে স্থানীয় সংসদ সদস্যকে এ সড়কটি সংস্কার করে দেয়ার অনুরোধ জানান।

ব্যারিস্টার সুমন বলেন, মাঠি ও মানুষের নেতা নুরুল ইসলাম নাহিদ সাহেবের এলাকায় এসে আমি ধন্য তবে আজ যদি আমি ফুটবল খেলতে না আসতাম তাহলে লাইভে ভাঙা রাস্তার চিত্র তুলে ধরে ইজ্জত মারতাম, বিয়ানীবাজারের সাথে আত্নীয়তার সম্পর্ক করতে চাই আবার যখন আসবো রাস্তাটা যেন ভালো দেখি তা না হলে আমার হাড়গোড় ভেঙ্গে যাবে যে অবস্থা।

ব্যারিস্টার সুমনের এমন বক্তব্যের সাথে সহমত পোষণ করেছেন বিয়ানীবাজারের লাখো মানুষ।

এ বিষয়ে সিলেট সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রিতেশ বড়ুয়া বলেন, ইতিমধ্যে আঞ্চলিক মহাসড়কের কাজ শুরু হয়েছে ধারাবাহিক ভাবে অসমাপ্ত কাজ গুলো শেষ করা হবে, যার ফলে তিন উপজেলার কয়েক লাখ মানুষের ভোগান্তি দুর হবে।

Back to top button